: বনগাঁ লোকসভার অধীন সাতটি বিধানসভায় বিজেপির প্রার্থী হতে চেয়ে প্রায় 500 টি দরখাস্ত জমা পড়েছে. যার মধ্যে সবথেকে বেশি দরখাস্ত জমা পড়েছে বনগাঁ উত্তর বিধানসভা ও বাগদা বিধানসভার জন্য. যার মধ্যে কিছু কিছু মন্ডলের সভাপতি রাও বিধানসভার প্রার্থী হতে চেয়ে দরখাস্ত করেছেন. বাগদা বিধানসভায় সম্ভাব্য প্রার্থীর দৌড়ে রয়েছেন.1) দুলাল চন্দ্র বর. তিনি রানিং এমএলএ. ও বিজেপি রাজ্য তপশিলি মোর্চার সভাপতি.2)অমৃত লাল বিশ্বাস, তিনি বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি. এবং বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির জনপ্রতিনিধি.3)বিভা মজুমদার, তিনি 2016 বিধানসভায় বিজেপির প্রার্থী ছিলেন.4) গোবিন্দ বিশ্বাস, যিনি বাগদা বিধানসভার ভোটার নয়. এনার স্ত্রী গত পঞ্চায়েত ভোটে বনগাঁ 4 নম্বর জেলা পরিষদের প্রার্থী ছিলেন. বনগাঁ জেলা পরিষদের মধ্যে ছটা অঞ্চল. যার তিনটি বাগদা বিধানসভার মধ্যে পড়ে.5) কোন অজানা ব্যক্তিকেও দল প্রার্থী করতে পারে এখানে.
বনগাঁ উত্তর বিধানসভার জন্য সবচেয়ে বেশি দরখাস্ত জমা পড়েছে.
এখানে 1) বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস থাকছেন সবার উপরে. তিনি একজন রানিং এমএলএ ও বর্তমানের জেলার সহ-সভাপতি.2) গোবিন্দ বিশ্বাস. যিনি বর্তমানে রাজ্যের তপশিলি মোর্চার সদস্য ও নবদ্বীপ জোনের তপশিলি মোর্চার কো কনভেনার. তিনি নিজে একজন স্বয়ংসেবক দীর্ঘ দিনের লড়াকু বিজেপির কার্যকর্তা.
3)দেবর্ষি বিশ্বাস, বর্তমানে তিনি বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি. নিজের উদ্যোগে কোন বড় প্রোগ্রাম অরগানাইজ কত তাকে দেখা যায়নি. তবুও তিনি প্রার্থীর দৌড়ে এখনো আছেন.4)বিনয় বিশ্বাস. এই নামটা ভেসে আসছে প্রার্থী হওয়ার জন্য.
বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভার প্রার্থীর দৌড়ে রয়েছেন
1) স্বপন মজুমদার, তিনি বর্তমানে জেলা বিজেপির সম্পাদক,2016 সালের বিজেপির প্রার্থী ছিলেন. বিধানসভার মন্ডল সভাপতি দের সঙ্গে এনার সুসম্পর্ক বজায় আছে বর্তমানে. সাংসদ শান্তনু ঠাকুর এর সঙ্গে তার সম্পর্ক চর্চার বিষয়.
2) হরিশঙ্কর সরকার, তিনি মন্ডলীর সভাপতি. এবং দীর্ঘদিনের বিজেপির কার্যকর্তা. তার স্ত্রী জেলা পরিষদের প্রার্থী ছিলেন.
3) জগদীশ সরকার, যিনি এই বিধানসভার ভোটার নয়. জগদিশ সরকারের বাড়ি গাইঘাটা বিধানসভা. তিনি বর্তমানে রাজ্য তপশিলি মোর্চার সহ-সভাপতি ও নবদ্বীপ জোনের তপশিলি মোর্চার কনভেনার.
4) অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি টিকাদার, যিনি বর্তমানে জেলা কমিটির সদস্য. দীর্ঘদিনের বিজেপির কার্যকর্তা. এই নামটিও প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে ভেসে আসছে..
5) অলোক বাইন, তিনি বর্তমানে পার্টির কোনো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নেই. তবুও তার নাম প্রার্থীর দৌড়ে ভেসে আসছে.
6) অরবিন্দ বিশ্বাস, যিনি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের পি.এ ছিলেন কিছুদিন আগে পর্যন্ত.
গাইঘাটা বিধানসভায় সম্ভবত ঠাকুরবাড়ি থেকে কেউ প্রার্থী হতে চাইছেন. সে ক্ষেত্রে কি হবে প্রার্থী সেটাই দেখার বিষয়.1)সুব্রত ঠাকুর অথবা সোমা ঠাকুরের মধ্যে থেকে কেউ হতে পারে.2) জগদীশ সরকার, ঠাকুরবাড়ির কেউ প্রার্থী না হলে সবার আগে উঠে আসছে এই নামটি.3) দুলালদের সমাদ্দার, তিনি একজন হিন্দুত্ববাদী নেতা ও ক্ষুদ্র উদ্যোগপ্রতি.4) মলয় মন্ডল, তিনি বর্তমানে রাজ্য তপশিলি মোর্চার সদস্য. এবং শান্তনু ঠাকুর এর বিরোধী গোষ্ঠীর লোক বলেই পরিচিত রাজনীতিতে.
যতদূর শোনা যাচ্ছে সাংসদ শান্তনু ঠাকুর এর অঙ্গুলিহেলনে এখানকার বিধানসভার প্রার্থী গুলো নির্বাচন হতে পারে. তবে বিজেপি দল পার্টির পুরনো কর্মীদের অগ্রাধিকার দিতে পারে এই সমস্ত বিধানসভা গুলিতে. স্ব রূপ নগর, হরিণঘাটা ও কল্যাণী বিধানসভার সম্ভাব্য প্রার্থী পরের সংখ্যায় প্রকাশিত হবে.
0 coment rios: