সুমন দের স্ত্রী সুতপা দে আমাদের প্রতিনিধিকে জানান,
গত 28-05-2021 তারিখ শুক্রবার, সন্ধ্যা 7:30 টার সময় তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনীরা এসে সুমন'কে ভীষন মারধর করেছে, ওকে বাঁচাও। এরপর বিপুল বসাক রথীন্দ্রনাথ কবিরাজ'কে ফোন করে বিষয়টা জানায় এবং রথীন্দ্র'কে সুমন দে'র বাড়িতে যেতে বলে। তখন রথীন্দ্র সেই মুহূর্তে বেরিয়ে গিয়ে দেখে মেদিয়া শনি মন্দিরের চৌরাস্তায় 30 থেকে 40 জন তৃণমূলের হার্মাদরা রাস্তা ঘিরে রেখে আনন্দ করছে। এমনকি ওই 14 নম্বর বুথের প্রতিটি রাস্তার গলিতে বা মোড়ে মোড়ে 4 থেকে 5 জনের টিম টহল দিচ্ছে। রথীন্দ্র 30 মিনিট ধরে মেদিয়ার মধ্যে গলিতে গলিতে ঘূর্ণি পাকের মতো দিশাহারা হয়ে ঘুরতে থাকে কিন্তু আহত সহযোদ্ধার ওই রকম মর্মান্তিক অবস্থা ও জীবনের করুন বেদনা দায়ক যন্ত্রণায় সেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অন্য রাস্তা দিয়ে সুমন দে'র বাড়িতে পৌঁছে যায়। তখন ইতিমধ্যে মেদিয়ার 11 নম্বর বুথের কার্যকর্তা দীপক সরকার তার একটা গাড়ি ড্রাইভারকে দিয়ে পাঠিয়ে দেয়। রাত্রি 9 টার পর রথীন্দ্রনাথ কবিরাজ, বিপুল বসাক ও তাপস কুমার মিস্ত্রি --- সুমনকে নিয়ে চাঁদপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করে। কিন্তু হাসপাতাল থেকে সুমন'কে প্রাথমিক চিকিৎসার পর অন্য হাসপাতালে ট্রান্সপার করে। ওই দিন রাত্রি 12 টার পর রথীন্দ্রনাথ কবিরাজ ও বিপুল বসাক সুমন'কে বনগাঁ ডাঃ জীবন রতন ধর এস. ডি. হাসপাতাল এণ্ড সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করায়। রাত্রি 12 :30 টার পর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে (ইমার্জেন্সিতে) সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। আজ হাসপাতালের ডাক্তার বাবু সুমনের তিনটি এক্সরে ও ব্রেনের সিটি স্ক্যান করাতে দিয়েছেন। বতর্মানে হাসপাতালে রথীন্দ্রনাথ কবিরাজ ও বিপুল বসাক রয়েছে। তবে যে অবস্থা তাতে করে কত দিন হাসপাতালে থাকতে হবে, এই মূহুর্তে ডাক্তার বাবু কিছুই বলতে পারছেন না.
উল্লেখ থাকে যে, গত 02-05-2021 তারিখ, বিধানসভা নির্বাচনের ভোটের ফলাফলের দিন দুপুরের পরে তৃণমূলের লোকজন সুমনের বাড়ির নারকেল গাছে বাজী ছোড়ার কারণে তার নারকেল গাছটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। ওই দিন থেকেই সুমন বাড়ি ছাড়া ছিল এবং গত 25-05-2021 তারিখে সে বাড়িতে ফিরে আসে। আর তার পরেই তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনীরা তার ওপর এই পৈশাচিক আক্রমণ চালায়।
স্বরূপনগর থানায় সুমন বাবুর স্ত্রী অভিযুক্তদের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ জানালেও এখনো পর্যন্ত কোন দুষ্কৃতী গ্রেফতার হননি.
স্বরূপনগর বিধানসভার পরাজিত বিজেপি প্রার্থী বৃন্দাবন সরকার জানান, বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই আমাদের সমস্ত বিধানসভা জুড়ে হিন্দু প্রধান এলাকাগুলোতে যেভাবে তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাহিনী আক্রমণ চালাচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে আগামী দিনে এই বিধানসভায় বিরোধীশূন্য করে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েই তৃণমূল এগিয়ে চলেছে.
বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি মনস্পতি দেব জানান, আমার সাংগঠনিক জেলায় সাতটি বিধানসভার মধ্যে আমরা ছয়টিতে জয়লাভ করেছে . একমাত্র আমরা এই বিধানসভায় হেরেছি. ফল প্রকাশের পর থেকেই এই বিধানসভায় হিন্দু শূন্য করে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে তৃণমূল এগোচ্ছে. যেখানে আমাদের প্রার্থীর বাড়িতে অগ্নি সংযোগ ঘটানো হচ্ছে, সেখানে এই বিধানসভায় আমাদের সাধারন মানুষের অবস্থা কি হবে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না.
0 coment rios: