Friday, 26 February 2021

রানাঘাট উত্তর পূর্ব বিধানসভা বিজেপির জয় নিশ্চিত.কারা আছে প্রার্থীর দৌড়ে?

, নিজস্ব প্রতিনিধি ,দৃষ্টি  বাংলা, রানাঘাট - 2019 রানাঘাট লোকসভার জয়ের সঙ্গী থেকেছিল(89) রানাঘাট উত্তর পূর্ব বিধানসভা. এই বিধানসভায় বিজেপির জয়  একপ্রকার নিশ্চিত. তাইতো এখানে প্রার্থী হতে চেয়ে বিজেপি নেতাদের হুড়োহুড়ি লেগে গেছে.
 1951 -52 সালে প্রথমবার এখান থেকে বিধায়ক হয়েছিলেন বিজয় কৃষ্ণ সরকার. বর্তমানে বিধায়ক আছেন তৃণমূলের সমীর   পোদ্দার. রানাঘাটে উত্তর-পূর্বের তৃণমূলের সংগঠন একদমই ভেঙে পড়েছে.
 এই বিধানসভার ভৌগলিক  চরিত্রের বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়. এই বিধানসভার মানুষ কৃষি নির্ভরশীল. প্রায় 85 শতাংশ মানুষ কৃষির  উপর নির্ভর করে জীবিকা নির্ভর করছেন. 5 শতাংশ মানুষ চাকরিজীবী. বাকি 10% মানুষ ছোট-বড়  ব্যবসার উপর নির্ভরশীল.
 2011 সেন্সাস অনুযায়ী এই বিধানসভায় 2 লক্ষ 99 হাজার 999 জন বসবাস করেন. বর্তমানে আরো প্রায় 10 হাজার মানুষের  সংখ্যা বৃদ্ধি হয়েছে  এখানে.
 বিধানসভার 92.37 শতাংশ মানুষ গ্রামীণ এলাকায় বসবাস করেন এবং 6.63 শতাংশ মানুষ শহর এলাকায় বসবাস করেন.
 এখানকার মোট জনসংখ্যার 59.88 শতাংশ ভোটার SC সম্প্রদায়ের মানুষ.2.99 শতাংশ মানুষ ST. বাকি অন্যান্য সম্প্রদায়ের.
 2019 সালে  2 লক্ষ 52 হাজার 697 জন ভোটার ছিল এখানে.
 গত লোকসভায় এখানে ভোট দানের মাত্রা ছিল 81.18 শতাংশ.
 2019 লোকসভায়  এখানে বিজেপির জগন্নাথ সরকার পেয়েছিলেন  1লক্ষ  16 হাজার 837 ভোট. তৃণমূলের রুপালি বিশ্বাস পেয়েছিলেন 73 হাজার 611 ভোট. সিপিএমের রমা বিশ্বাস পেয়েছিলেন  6633 ভোট. অর্থাৎ গত লোকসভায়  বিজেপি এখান থেকে  43 হাজার 226 ভোটে লিড দিয়েছিলেন.
 এই বিধানসভায় তৃণমূলের আর কোনো আশা নেই স্থানীয় জনগণ বলছে. সিপিএম কংগ্রেসের জোট  এখানে প্রার্থী  দিলে সমীকরণ কি দাঁড়াবে সেটা বলা যাচ্ছে না. তবে একটা জিনিস নিশ্চিত বিজেপির জয় এখানে কেউ আটকাতে পারবেনা. এই বিধানসভার 60 শতাংশ তপশিলি ভোট  বিজেপিকে বাড়তি অক্সিজেন যোগাচ্ছে.

 এখন দেখা যাক কোন দল কাকে প্রার্থী করে. সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে জোটের প্রার্থী খানে সিপিএম থেকে করা হতে পারে কাউকে. তবে নামটা এখনও ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছে. শোনা যাচ্ছে কোন মহিলা প্রার্থী  হতে পারেন জোটের এখানে.
 তবে তৃণমূল হয়তো সমীর পোদ্দারের প্রার্থী করতে পারে পুনরায়. কিন্তু এখানকার দলীয় কোন্দল  তৃণমূলীদের সমস্যায় ফেলতে পারে. তবে নতুন কোনো যুব নেতৃত্বকে এখানে তৃণমূল প্রার্থী করে চমক দিতে পারে. সে ক্ষেত্রে কি হতে পারে তৃণমূলের প্রার্থী সেটা জানা যাচ্ছে না.
 যেহেতু   এই   বিধানসভায় বিজেপির জয় নিশ্চিত তাই বিজেপির প্রার্থীর দৌড়ে অনেকেই রয়েছেন.
1) প্রথমেই এই   বিধানসভা থেকে জনমত সমীক্ষায়  যে নামটি ভেসে আসছে তিনি হলেন সঞ্জীবন বিশ্বাস( জীবন ).  তিনি বর্তমানে বিধানসভার বুথ প্রমুখ আছেন. তার  বাড়িতেই বিধানসভার কার্যালয় খোলা হয়েছে. তিনি একজন সৎ নির্ভীক  পার্টির কর্মী হিসেবে পরিচিত. কর্মজীবনে তিনি ট্রাভেলস এর ব্যবসা এবং  এবং বালি সিমেন্ট হার্ডওয়ার ব্যবসা করেন. এলাকায় তার জনপ্রিয়তা অনেকটা  এগিয়ে রেখেছে তাকে. এবং সুবক্তা হিসেবে তাঁর পরিচিতি আছে.
2) এবারে জনমত সমীক্ষায়  প্রার্থী তালিকায় অশোক বিশ্বাসের নাম উঠে আসছে. তিনি দীর্ঘদিনের বিজেপি লড়াকু নেতৃত্ব. বর্তমানে তিনি নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা কিষান মোর্চার সভাপতি. তিনিও জনমত সমীক্ষায় সবার উপরেই থাকবেন.

3) এরপরে নাম উঠে আসছে শ্যামল বিশ্বাসের. তিনি এই বিধানসভার ভোটার নয়. তিনি রাজ্য তপশিলি মোর্চার কোষাধক্ষ্য এবং সামাজিক সংগঠন নিখিল ভারত সমন্বয় সমিতির তিনি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব.
4) এরপরে নাম উঠে আসছে প্রিয়াঙ্কা মন্ডল. তিনি নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সম্পাদিকা. পেশায় তিনি শিক্ষিকা.
5) এরপরে নাম উঠে আসছে অসীম বিশ্বাস. তিনিও লড়াকু নেতৃত্ব.  তার নামও প্রার্থী তালিকায় রয়েছে.
6) এরপরের নাম শোনা যাচ্ছে নিউটন সরকারের. তিনি রাজ্য তপশিলি মোর্চার সদস্য ও নদিয়া দক্ষিণ জেলায় তপশিলি মোর্চার পর্যবেক্ষক. তিনি কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভার মানুষ.


7) এরপরে নাম উঠে আসে দিলীপ মন্ডল এর. যিনি রাজ্য তপশিলি মোর্চার সদস্য. কিন্তু তিনি এই বিধানসভার ভোটার নয়.
 কিন্তু এই বিধানসভার মানুষ চাইছেন  বিধানসভার কোন ভূমিপুত্র কে.
 এখন দেখার তৃণমূল ও বিজেপি কাকে প্রার্থী করে. তবে লড়াইটি একপেশে হতে পারে মনে হচ্ছে এই বিধানসভায়.
 গত পঞ্চায়েত ভোট থেকে  এই বিধানসভা বিজেপির শক্ত গড় হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে.

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: