2016 বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএমের তনময় গাঙ্গুলী ভোট পেয়েছিলেন 81 হাজার 782 ভোট, তৃণমূল কংগ্রেসের কল্লোল খাঁ পেয়েছিলেন 88 হাজার 032 ভোট. বিজেপির অনুপ কুমার মন্ডল পেয়েছিলেন 12 হাজার 724 ভোট.
গত( 2019)লোকসভা নির্বাচনে নাকাশিপাড়া বিধানসভার ফলাফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে তৃণমূলের মহুয়া মিত্র এই বিধানসভা থেকে ভোট পেয়েছিলেন 87 হাজার 893 ভোট. বিজেপির কল্যাণ চৌবে ভোট পেয়েছিলেন 82 হাজার 813 ভোট. সিপিএমের শান্তনু ঝা ভোট পেয়েছিলেন 15 হাজার 978 ভোট. আর কংগ্রেসের ইন্তাজ আলী শাহ পেয়েছিলেন 4 হাজার 445 ভোট. অর্থাৎ 2016 থেকে 2019 এই তিন বছরের মধ্যেই এই বিধানসভা থেকে বিজেপি তিন নম্বর থেকে দুই উঠে এসেছে. এবং শাসক দলের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে. মাত্র পাঁচ হাজার ভোটে পিছিয়ে ছিলেন বিজেপির কল্যাণ চৌবে তৃণমূলের মহুয়া মিত্র এর কাছে. 2016 সালে এই বিধানসভায় বিজেপির ভোট ছিল মাত্র 12 হাজার 724 ভোট এবং 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে এই নাকাশিপাড়া বিধানসভায় বিজেপির ভোট পেয়েছিল 82 হাজার 813 ভোট. অর্থাৎ তিন বছরের মধ্যেই বিজেপি বিধানসভা থেকে 70 হাজার ভোট এগিয়ে গেছে.
বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী এই বিধানসভায় তৃণমূলের অবস্থা বিজেপির মত ভালো পর্যায়ে নেই. করোনা ও আম্ফান পরবর্তী সময়ে তৃণমূলের অবস্থায় এখানে খারাপ হয়েছে আর বিজেপির পরিস্থিতি ক্রমশ ভালোর দিকেই গেছে. আমাদের সার্ভে অনুযায়ী জনমত সমীক্ষায় উঠে এসেছে বিজেপি তৃণমূলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে চলেছে এই বিধানসভায়.
51-49/% লড়াই চলছে তৃণমূল বিজেপির মধ্যে. মাত্র 1% ভোটের হেরফের হলেই এখানে বিজেপির জিতে যাওয়ার সম্ভাবনা.
বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী এখানে তৃণমূলের প্রার্থী হতে পারে বর্তমান বিধায়ক কল্লোল খাঁ. আর বিজেপির প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে যারা রয়েছেন তারা হলেন.
1) 2016 সালে বিজেপির টিকিটের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা অনুপ কুমার মন্ডল এবারও প্রার্থীর দৌড়ে সবার উপরেই থাকবেন. তিনি বর্তমানে নদীয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার তপশিলি মোর্চার সভাপতি.
2) এরপরেই নাম শোনা যাচ্ছে যার তিনি হলেন মহাদেব সরকার. তিনি বর্তমানে রাজ্য কিষান মোর্চার সভাপতি. তিনিও প্রার্থীর দৌড়ে রয়েছেন এই বিধান সভাতে.
3)এরপরের নাম শোনা যাচ্ছে রাজ্য বিজেপির সদস্য অলোক কুমার কুন্ডু. তিনি সম্ভবত কোন জেলার অবজারভার আছেন. তার নাম বিধানসভা থেকে প্রার্থী হিসেবে শোনা যাচ্ছে.
4)এরপরে নাম শোনা যাচ্ছে অনন্ত সরকারের. তিনিও প্রার্থীর দৌড়ে উপরের দিকেই থাকবেন. তিনি বর্তমানে নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক.
5)এরপরে যে নাম উঠে আসে তিনি হলেন মহিলা. তুমি চম্পা হালদার. প্রার্থীর দৌড়ে তিনিও এই বিধানসভা থেকে রয়েছেন.
6) নবীন চক্রবর্তীর নামটাও প্রার্থী হিসেবে শোনা যাচ্ছে এখানে. তিনিও প্রার্থীর দৌড়ে রয়েছেন.
বাইরে থেকেও দল কাউকে প্রার্থী করতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে এখানে. যদিও যাদের নাম উঠে আসছে তাদের অনেকের ভোটারই এই বিধানসভার নয়.
0 coment rios: