গত লোকসভা নির্বাচনে অশোকনগরের বিজেপির অবস্থা ততটা ভাল ছিলনা.যতটা ভালো বর্তমান পরিস্থিতিতে দেখা যাচ্ছে.2019 লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি তৃণমূল থেকে অনেক ভোটেই পিছিয়ে ছিল.এই বিধানসভার সংখ্যালঘু ভোটের পুরোটাই পেয়েছিল তৃণমূল.যার কারণে তৃণমূল বিজেপি থেকে অনেকটাই এগিয়ে ছিল.
রাজ্য বিজেপির অনেক নেতা নেত্রী এই অশোকনগরে বসবাস করে.শুধু তাই নয় বারাসাত জেলার প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠেছে অশোকনগর বিধানসভা.,তাছাড়া অশোকনগর তৈল খনি আবিষ্কার হওয়ার পর থেকে অর্থনৈতিক করিডোরে হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে. 2019 লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় এখানে তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছিল 93 হাজার 109 ভোট, বিজেপি পেয়েছিল 79 হাজার 592 ভোট, সিপিএম পেয়েছিল 19 হাজার 423 ভোট, কংগ্রেস পেয়েছিল 4082 ভোট. অর্থাৎ তৃণমূল এখানে 13417 ভোটে লিড দিয়েছিলো গত লোকসভা নির্বাচনে.
পার্টির কর্মী সমর্থক ও জনসাধারণের জনমত সমীক্ষায় উঠে এসেছে বিজেপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের নামের তালিকা.
সবার উপরেই থাকছেন প্রার্থীর দৌড়ে
1)
নীলরতন মিত্র.তিনি বর্তমানে বারাসাত জেলা ওবিসি মোর্চার সভাপতি.এছাড়া তিনি সুবক্তা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে. নিচু স্তরের কর্মীদের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা
সকলের উপরে.
2) এর পরেই থাকবেন ননী গোপাল ভট্টাচার্য.তিনি বর্তমানের জেলার সদস্য.তিনি এর আগে অখন্ড বারাসাত জেলা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন ও একজন পুরোনো স্বয়ংসেবক.
3) এর পরেই থাকবেন তনুজা চক্রবর্তী.
তিনি এর আগে 2016 সালে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন. তিনি বর্তমানে রাজ্য কমিটির সম্পাদিকা.
4) এরপরেই থাকবেন স্বপন কুমার দে. তিনি বর্তমানে অশোকনগর বিধানসভার কনভেনার.তিনিও প্রার্থীর দৌড়ে রয়েছেন.যদিও শোনা যাচ্ছে যারা বিধানসভার কনভেনার হয়েছেন তারা বিধানসভার প্রার্থী হওয়ার জন্য দরখাস্ত করতে পারবেন না.
5) এর পরেই উঠে আসছে ভূপতি বাগচীর নাম.তিনিও প্রার্থীর দৌড়ে রয়েছেন জনমত সমীক্ষায়.
6) এরপরে উঠে আসছে জেলা কমিটির কোষাধ্যক্ষ গোপাল নন্দীর নাম.
এর বাইরে থেকেও প্রার্থী হতে পারে.বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী এই নামগুলি উঠে আসছে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে.
আমাদের সমীক্ষায় অশোকনগর বিধানসভায় বিজেপির 5 থেকে 10 হাজার ভোটে জিততে চলেছে.
0 coment rios: